নদী ভাঙ্গনে ছোট হয়ে আসছে বাউফলের মানচিত্র

সাইফুল ইসলাম, বাউফল:

তেতুঁলিয়া ও লোহালীয়া নদীর ভাঙ্গনে ছোটো হয়ে আসছে বাউফল উপজেলার মানচিত্র। উপজেলার কালাইয়া ও নাজিরপুর, ধুলিয়া ইউনিয়নের আংশিক তেঁতুলিয়া নদীতে এবং বগা ইউনিয়নের বামনীকাঠী গ্রাম লোহালিয়া নদীতে ভেঙ্গে যা”েছ।
বাউফল উপজেলা আয়তন ৪৮৭ বর্গকিলোমিটার। মোট জমির পরিমান ১২০৩৬৬ একর। প্রতি বছর নদীর ভাঙ্গনে উপজেলায় জমির পরিমান কমে আসছে। গত ৪০ বছরে উপজেলার তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ১০ গ্রামের ১২শ বাড়িসহ এবং সাড়ে সাত হাজার একর জমি নদীতে ভেঙ্গে যায়। ফলে আড়াই হাজার পরিবার ভুমিহীন হয়ে পড়ে।

 সরেজমিনেদেখাগেছে, নাজিরপুর ধান্দী গ্রামের তেতুলিয়া নদীর বেড়িবাধ রাস্তা ভেঙ্গে যায়। নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি হলে ওই এলাকার ৭ গ্রামে পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় স্কুল মাদ্রাসায় ক্লাশ বন্ধ করে ছুটি দিতে বাধ্য হয়। চর আমরখালী পূর্ব পাশে প্রায় ২ কিলোমিটার ভেঙ্গে গেছে। ২০ টি পরিবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে

বামনিকাঠী লঞ্চঘাট থেকে ঠাকুর বাড়ি পর্যন্ত, আমরখালী সেলিম মোল্লা বাড়ি থেকে পাকডাল লঞ্চঘাট, চরওয়াডে দক্ষিণ মাথার ব্রীজ- ডিয়ারা, নিমদী থেকে ভরিপাশা পর্যন্ত নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এসব ভাঙ্গন এলাকায় ৪শ বাড়ি, নিমদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরওয়াডেল সরকারি বিদ্যালয়, বগা লঞ্চঘাট দক্ষিণ পূর্ব পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় ৭ হাজার কৃষি জমি  হুমকির মুখে। কালাইয়া বাজার থেকে ল্ঞ্চঘাট পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা নদীর মধ্যে ভেঙ্গে গেছে। এখানে বসত বাড়িসহ প্রায় ২০ টি দোকান ও মসজিদ হুমকীর মুখে রয়েছে।
 তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়া  নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোন সরকারই উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। গত বছর  জাতীয় সংসদ চীফ হুইপ আসম ফিরোজ এমপি  ও পানি সম্পদ মন্ত্রী  গত বছর উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়ন নদী ভাংগন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন।  

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, প্রকৃতি নিয়মে নদী ভাংছে। আবার পয়েস্তি জমি জেগে ওঠেছে। সরকার ৮ নং বলিয়ামে ১ নং খতিয়ান ভুক্ত খাস জমি ভ’মিহীনদের বন্দোবস্ত দেওয়া হ”েছ। ভ’মিহীন অগ্রাধিকার তালিকায় ২ নম্বরে ই নদী ভাঙ্গা পরিবারকে রাখা হয়েছে।